মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
শাহ নিয়াজ : চলতি বছরে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় কক্সবাজার জেলায় ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। জেলায় ছাত্রদের চেয়ে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছাত্রী বেশী পাস করেছে এবং ৩৩ জন বেশী ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে দেখা গেছে, কক্সবাজার জেলায় মোট পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এরমধ্যে, মেয়েদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ছেলেদের পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, জেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ হাজার ৪১৬ জন। তারমধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৩ হাজার ৩৪৭ জন। পাস করেছে ৯ হাজার ৩৯৩ জন। গড় পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন। পাসের হারে, পাসে ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৫৯ ছাত্র ও ৫ হাজার ৫৩৪ জন ছাত্রী পাস করেছে।
জেলায় বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৬১৫ জন। পাস করেছে এক হাজার ৩৩৯ জন। পাসের হার ৮২ দশমিক ৯১ শতাংশ। পাসের মধ্যে ৬৭৮ জন ছাত্র ও ৯৩৭ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৯ জন। তারমধ্যে ৫১ জন ছাত্র ও ৫৮ জন ছাত্রী। মানবিক বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮ হাজার ২৮১ জন। পাস করেছে ৫ হাজার ৫১৭ জন। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। পাসের মধ্যে ২ হাজার ৭০ জন ছাত্র ও ৩ হাজার ৪৪৭ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬ জন। তারমধ্যে ১৮ জন ছাত্র ও ৩৮ জন ছাত্রী। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ৪৭০ জন। পাস করেছে ২ হাজার ৫৩৭ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। পাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৭ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৩০০ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২ জন। তারমধ্যে ২৮ জন ছাত্র ও ৩৪ জন ছাত্রী।
রবিবিার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সকল বোর্ড চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর এর পর পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসে জানা যাচ্ছে। এরপর একে একে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply